logo

HOMOEOPATHY DOCTOR

📚 Home

অগ্রসর কর্মী মানয়োন্নয়ন গাইড

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য দরস, বই নোট, বিষয়ভিত্তিক আয়াত-হাদিস ও মাসয়ালা সংকলন

📚 অনুশীলনী -১৪(জুলাই-৩য় সপ্তাহঃ)

# দারস তৈরী - সুরা আল ইনফিতার # বই নোট:জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস # বাইয়াত সংক্রান্ত আয়াত # বাইয়াত সংক্রান্ত হাদিস # নামায সংক্রান্ত সম্পর্কিত মাসায়েল

দারস তৈরী - সুরা আল ইনফিতার

১) إِذَا ٱلسَّمَآءُٱنفَطَرَتْ
২) وَإِذَا ٱلْكَوَاكِبُٱنتَثَرَتْ
৩) وَإِذَا ٱلْبِحَارُ فُجِّرَتْ
৪) وَإِذَا ٱلْقُبُورُ بُعْثِرَتْ
৫) عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
৬) يَٰٓأَيُّهَا ٱلْإِنسَٰنُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ ٱلْكَرِيمِ
৭) ٱلَّذِى خَلَقَكَ فَسَوَّىٰكَ فَعَدَلَكَ
৮) فِىٓ أَىِّ صُورَةٍ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ
৯) كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ
১০)وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَٰفِظِينَ
১১)كِرَامًا كَٰتِبِينَ
১২)يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
১৩)إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ لَفِى نَعِيمٍ
১৪)وَإِنَّ ٱلْفُجَّارَ لَفِى جَحِيمٍ
১৫)يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ ٱلدِّينِ
১৬)وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَآئِبِينَ
১৭)وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ
১৮)ثُمَّ مَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ
১৯)يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْـًٔا وَٱلْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِّلَّهِ

১) যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, ২) যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে, ৩) যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে, ৪) এবং যখন কবরসমূহ উন্মোচিত হবে, ৫) তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে। ৬) হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? ৭) যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। ৮) যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন। ৯) কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর। ১০) অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। ১১) সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। ১২) তারা জানে যা তোমরা কর। ১৩) সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে। ১৪) এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে; ১৫) তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে। ১৬) তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না। ১৭) আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? ১৮) অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? ১৯) যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কৃত হবে আল্লাহর।

সূরা আল-ইনফিতার (سورة الانفطار) হলো পবিত্র কোরআনের ৮২তম সূরা, যার অর্থ "বিদীর্ণ হওয়া"। এই সূরায় কিয়ামত বা বিচার দিবসের বিভীষিকা এবং আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব ও মানুষের অবাধ্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

নামকরণ: প্রথম বাক্যের ইনফিতার শব্দটিকে নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যার অর্থ ফেটে যাওয়া। সাধারণত অধিকাংশ সূরার মত এখানে চিহ্নস্বরূপ এই নামকরণ করা হয়েছে।

নাযিলের সময়কাল: মক্কী সূরা এবং প্রাথমিক অবস্থায় অবতীর্ণ। মক্কাবাসীদেরকে আখিরাত সম্পর্কে সচেতন করা প্রথম যুগের অবতীর্ণ সূরাসমূহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য: সূরাটির বিষয়বস্তু আখিরাত। হযরত ইবনে উমর (রা) বর্ণিত একটি হাদিস, ‘যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায় সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা ইনফিতার ও সূরা ইনশিকাক প ে নেয়।’

এই সূরায় প্রথমে কিয়ামতের বর্ণনা দেয়া হয়েছে এবং সে সময়ে দুনিয়ায় কৃত ভালো ও মন্দ সকল কর্ম প্রত্যেকেই দেখবে। তারপর মানুষের সৃষ্টি এবং সকল সৃষ্টির মধ্যে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও জ্ঞান-যোগ্যতা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বদানের পরও তার রবকে ভুলে থাকার কারণ যে আখিরাতে অবিশ্বাস সেটি ব্যক্ত করা হয়েছে।

মানুষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, সম্মানিত লেখকবৃন্দ তার গতিবিধি, চালচলন ও কর্মকান্ড সব লিপিবদ্ধ করছেন এবং নেককারদের শুভ পরিণতি ও বদকারদের কঠিন শাস্তির কথা এই সূরায় বলা হয়েছে। সেদিনে কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।

কিয়ামতের বিভীষিকা: এই সূরার শুরুতে কিয়ামতের দিনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, নক্ষত্ররাজি খসে প বে এবং সমুদ্রগুলো উত্তাল হয়ে উঠবে।

আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব: সূরাটিতে আল্লাহ তা'আলার কুদরত ও সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলা হয়েছে, যিনি মানুষকে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য পথপ্রদর্শক প্রেরণ করেছেন।

মানুষের অবাধ্যতা: সূরাটিতে মানুষের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ না হয়ে অবাধ্যতা করে, তাদের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রতিদান ও শাস্তি: কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে তার কর্মফল অনুযায়ী প্রতিদান বা শাস্তি দেওয়া হবে, এই বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

শুভ ও অশুভ পরিণাম: সূরাটিতে ভালো ও মন্দের দুটি পথ এবং তাদের পরিণাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা সৎকর্ম করে, তারা পুরষ্কার লাভ করবে এবং যারা অসৎকর্ম করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।

সারসংক্ষেপে, সূরা আল-ইনফিতার কিয়ামত ও বিচার দিবস, আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব, মানুষের অবাধ্যতা এবং প্রতিদান ও শাস্তির বিষয়ে আলোকপাত করে।

ব্যাখ্যা: প্রথম তিনটি আয়াতে কিয়ামত দিনের প্রাথমিক অবস্থার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কুরআন মজিদে বিভিন্ন জায়গায় কিয়ামতের বর্ণনা রয়েছে। বর্তমানে যে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার ভিত্তিতে এ বিশ্বজাহান পরিচালিত হচ্ছে, আল্লাহপাক নিজেই একদিন তা ভেঙ্গে দেবেন।

হাদিসে সিঙ্গায় তিনটি ফুৎকারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ফুৎকারে এক প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্প, তা কোন এক নির্দিষ্ট এলাকায় নয় সমগ্র বিশ্বব্যাপী সংঘটিত হবে। এখানে বলা হয়েছে যে আকাশ ফেটে যাবে, তারকাসমূহ বিক্ষিপ্ত হয়ে প বে এবং সমুদ্রসমূহ ফেটে যাবে। কোথাও বলা হয়েছে সমুদ্রসমূহে আগুন জ্বলতে থাকবে।

কোথাও বলা হয়েছে পাহাড়সমূহ ধূলা পশমের মত উ তে থাকবে। মোট কথা পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল, সাগর-মহাসাগর সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এ জমীন এক সমতল ভূমিতে পরিণত হবে। মনে হবে যেন একটি দস্তরখানা বিছায়ে দেয়া হয়েছে।

পরবর্তী ফুৎকারে সব মানুষ কবর থেকে উঠে আসবে এবং সে তখন সামনের ও পেছনের ঘটে যাওয়া সকল কৃতকর্ম জানতে পারবে। অর্থাৎ সে তার জীবদ্দশায় ভালো-মন্দ যা করেছে তা যেমন জানতে পারবে তেমনি মৃত্যুর পরে তার রেখে আসা আমলের দ্বারা অন্যান্যরা প্রভাবিত হলে তারও ছওয়াব ও গুনাহের সে ভাগীদার হবে।

৬-১২ আয়াতে মানুষের সুন্দর গঠন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের সুসামঞ্জ্যকরণ ও বিভিন্ন আকৃতিতে সৃষ্টির বিষয় উল্লেখ করে তার মধ্যে সম্বিত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ময়ের গর্ভে পিতার শুক্রকীট নিক্ষেপ এবং ক্রমবিকাশের মাধ্যমে মানবশিশুর জন্ম আল্লাহর এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। মানবশিশুর বে ে উঠা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সংযোজন, প্রাণের সঞ্চার আল্লাহর ইচ্ছার ফলেই সম্ভব হয়।

তারপর মানুষের আকার-আকৃতি, চেহারা, কন্ঠস্বর, এমন কী বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপের ভিন্নতাসহ প্রত্যেককে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি আল্লাহপাকের অসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই পরিচায়ক। হযরত আদম (আ) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ এ দুনিয়ায় আসবে কারো সাথে কারো কোন মিল হবে না; সবাই স্বতন্ত্র দৈহিক কাঠামো, রুচি-পছন্দ নিয়ে এ পৃথিবীতে আগমন করবে-এ সব চিন্তা করলে আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত না হয়ে উপায় থাকে না।

কিন্তু মানুষ উল্টো তাঁর নাফরমানিতেই লিপ্ত রয়েছে। আল্লাহর ভাষায় এর মূলে কারণ একটিই এবং তা হলো আখিরাতের প্রতি অবিশ্বাস। অথচ মানুষের ভালো-মন্দ সকল কাজই আল্লাহর নিযুক্ত ফেরেশতা কর্তৃক রেকর্ডভুক্ত হচ্ছে এবং তাঁরা হলেন সম্মানিত, অর্থাৎ তাঁরা এমন নন যে, কোন ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা ঘুষ-দুর্নীতির বিনিময়ে মিথ্যা লেখার মত তাঁরা নন।

তাঁদের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য এই যে, তাঁরা দুনিয়ার সরকারসমূহের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের মত নন যারা হাজারো চেষ্টা করেও অনেক সময় প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হন। আল্লাহর ফেরেশ্তারা সকল বিষয়ে জ্ঞাত; কোন কিছুই তাঁদের অগোচরে নয়।

পৃথিবীতে মানুষের আচার-আচরণ, চাল-চলন ও কর্মকান্ডে যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি আখিরাতে তাদের পরিণতিও ভিন্ন হবে। এখানে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করেছেন যে, বর্তমান দুনিয়ায় যারা নেক কাজ করবে তারা আখিরাতে পরমানন্দে থাকবে; পক্ষান্তরে পাপীদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আযাব। যারা জাহান্নামে যাবে কখনই সেখান থেকে তারা সরে প তে পারবে না। সেদিনের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে যেয়ে আল্লাহপাক বলেছেন, আখিরাতে কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।

অতীতকালে মানুষের একটি ধারণা ছিল যে, নবী-রসূল বা আল্লাহর নেক বান্দারা বা তাদের উপাস্য দেবতারা সুপারিশ করে তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিবে। এ ভ্রান্তি বর্তমানেও রয়েছে, যার কারণে মানুষ বিভিন্ন মাজার ও দরবারে ঘুরাঘুরি করে। এখানে বলা হয়েছে, কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফয়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে।

অবশ্য শিরকমিশ্রিত শাফায়াতের পরিবর্তে ইসলাম আমাদের সম্মুখে তাওহীদভিত্তিক সুপারিশের ধারণা প্রদান করেছে। সুপারিশ প্রসঙ্গে কুরআন মজিদে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার জন্য সুপারিশ পছন্দ করবেন কেবল তিনিই সুপারিশ করতে পারবেন। আল্লাহর ওপর প্রভাব বিস্তার করে বা সুপারিশের মাধ্যমে কাউকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে নেয়ার ক্ষমতা সেদিন কারো থাকবে না।

আল্লাহপাকের ক্ষমা করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে সেদিন কিছু লোককে তিনি সুপারিশ করার সুযোগ দান করবেন (নবী-রসূল ও নেক বান্দারা) এবং এর মাধ্যমে তিনি তাঁর নেক বান্দাদের মর্যাদা উচ্চে তুলে ধরবেন ও কিছু গোনাহগার বান্দাকে শাস্তি থেকে রেহাই দান করবেন।

শিক্ষা: আখিরাতের প্রতি ঈমান আনায়নই এই সূরার মৌলিক শিক্ষা। সমাজে জুলুম-নির্যাতন ও নানাবিধ পাপাচারের মূল কারণ আখিরাতে অবিশ্বাস। প্রথমত কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনা দেয়া হয়েছে; এরপর মানুষের সৃষ্টি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন যে, আল্লাহর নাফরমানির পেছনে পরকাল অবিশ্বাস ছা া আর কোন কারণ নেই।

আল্লাহপাক আমাদেরকে পরকাল বিশ্বাসের মাধ্যমে সকল পাপাচার থেকে মুক্ত থেকে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন।

Top


বই নোটঃ জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস

 আব্বাস আলী খান


 প্রকাশকঃ আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, প্রকাশনা বিভাগ
প্রথম প্রকাশ-জুলাই ১৯৮৬


জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস - গ্রন্থের ভূমিকা ও সূচিপত্র

ভুমিকা

দশ বছর পূর্বে ১৯৮৬ সালে এ গ্রন্থখানি প্রকাশিত হয়। যাঁরাই জামায়াতে ইসলামীর সাথে সঠিকভাবে পরিচিত হতে চান এবং যাঁরা এ আন্দোলনের সাথে জড়িত হতে চান, তাঁদের অবশ্য অবশ্যই জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস মন দিয়ে পড়া উচিত।

জামায়াতের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ এবং আদর্শিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ লাভের জন্যে এ ইতিহাস পাঠ অপরিহার্য। ইতিহাস ও কাল পরিক্রমায় দেখা যায়, কোনো একটি আন্দোলন অথবা জাতি যুগের পর যুগ অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তার মধ্যে কিছু বিকৃতি বা আদর্শচ্যুতি শুরু হয়। এমন সময়ে তার প্রতিরোধ করতে না পারলে অথবা প্রতিরোধের চেষ্টা না করলে অবশেষে তার পতন ঘটে।

ঠিক তেমনি জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একটি দ্বীনি আন্দোলনের সম্ভাব্য বিকৃতি অথবা পতন রোধ করতে হলে জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস দৈনন্দিন পাঠ্য তালিকায় রাখতে হবে।

এ ইতিহাস যদিও তার প্রাথমিক যুগের সাত বছরের ইতিহাস, কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে জামায়াত গঠনের পটভূমি, উপমহাদেশের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথা একজাতীয়তার ভিত্তিতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার সংকল্প, সংখ্যালঘু মুসলমানদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে একাকার করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র প্রভৃতি।

এ ইতিহাসে জামায়াতের আদর্শ, লক্ষ্য, কর্মপদ্ধতি, ঈমান, ইসলাম, তাকওয়া ও ইহসানের সহজ সরল ব্যাখ্যা, যা নিয়ে ইসলামের প্রাসাদ নির্মিত হতে পারে, আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অপরিহার্য গুণাবলী প্রভৃতি বিষয়গুলো বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

জামায়াত গঠনকালে এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন সম্মেলনে জামায়াত প্রতিষ্ঠাতা যেসব অমূল্য ভাষণ দিয়েছেন, পাঠক অবশ্যই তার থেকে একামতে দ্বীনের প্রেরণা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মনমানসিকতা ও রূহের খোরাক এবং এ সব হতে তাঁর এ কঠিন পথে চলার মূল্যবান পাথেয় লাভ করতে পারবেন।

সূচিপত্র

প্রথম খণ্ড: জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস - ১৯৪১-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত

প্রথম অধ্যায়

  • জামায়াতে ইসলামী কি?
  • ইসলামী আন্দোলনের সূচনা
  • মানব জাতির দুঃখ-দুর্দশা ও ধ্বংসের কারণ
  • খোলাফায়ে রাশেদীনের ইসলামী আন্দোলন
  • খোলাফায়ে রাশেদীনের পর ইসলামী আন্দোলন
  • ভারতে ইসলামী আন্দোলন

দ্বিতীয় অধ্যায়

  • সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়
  • আল-জিহাদু ফিল ইসলাম গ্রন্থ

তৃতীয় অধ্যায়

  • গবেষণা ও ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তুতি স্তর
  • তৎকালীন ভারতে মুসলমানদের অবস্থা
  • তর্জুমানুল কুরআনের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন
  • দারুল ইসলাম ট্রাস্ট গঠন ও ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে
  • দল গঠনের পটভূমিকা রচনা
  • দারুল ইসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল নিম্নরূপ

চতুর্থ অধ্যায়

  • দারুল ইসলাম পরিকল্পনা ও মাওলানা মওদূদী
  • মাওলানার বক্তব্য
  • দারুল ইসলাম সম্পর্কে আরো কিছু কথা
  • দারুল ইসলামের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা
  • দারুল ইসলামের গঠনতন্ত্র
  • কাজের চিত্র
  • ইসলামী সীরাত
  • আর্থিক উপায়-উপকরণ
  • উদ্দেশ্য হাসিলের পথ
  • প্রতিরোধ
  • গঠনমূলক কাজ
  • তাত্ত্বিক বিভাগ
  • ব্যবহারিক বিভাগ
  • কাজের প্রসার

পঞ্চম অধ্যায়

  • মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা
  • তর্জুমানুল কুরআনে মাওলানা বলেন
  • মাওলানা জিজ্ঞেস করেন
  • ইসলামী জাতীয়তা
  • মাওলানা ব সত্য কথা বলেন
  • ধর্মহীন সংবিধান সম্পর্কে মাওলানা বলেন
  • বৃটিশ পূজারী বলে যারা গালি দেয় তাদের জবাবে মাওলানা বলেন
  • ইসলাম ও জাতীয়তাবাদের পার্থক্য বুঝাতে গিয়ে মাওলানা বলেন
  • মুসলিম জাতীয়তা
  • মুসলমান ও বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত (প্রথম খণ্ড)
  • অভাব কিসের?
  • মুসলমান ও বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাত (দ্বিতীয় খণ্ড)

ষষ্ঠ অধ্যায়

  • শাসনতান্ত্রিক প্রস্তাব
  • একজাতীয়তাবাদের ধ্বজাধারীদের সমালোচনা
  • পাশ্চাত্য জাতীয়তা, ইসলামী জাতীয়তা ও একজাতীয়তা
  • প্রথম প্রস্তাব
  • দ্বিতীয় প্রস্তাব
  • তৃতীয় প্রস্তাব
  • জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা
  • জামায়াতে ইসলামীর কাজ
  • জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুমোদন
  • জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত
  • আমীরে জামায়াতের সাংগঠনিক ও দাওয়াতী সফর
  • জামায়াত দফতর স্থানান্তর
  • মাওলানার বিশেষ হেদায়েত
  • মাওলানার অসাধারণ কর্মব্যস্ত জীবন (১৯৩৯-৪২)

সপ্তম অধ্যায়

  • জামায়াত সংকটের সম্মুখীন
  • আন্দোলনের বিরোধিতা
  • মজলিসে শূরার জরুরী বৈঠক
  • অস্থায়ীভাবে দারুল ইসলামে কেন্দ্র স্থানান্তরিত
  • নতুন কেন্দ্রে নতুন পরিকল্পনা
  • মতপার্থক্য ও তার সমাধান
  • সাংগঠনিক কাজের পর্যালোচনা
  • মহাযুদ্ধ আন্দোলনের বিরাট প্রতিবন্ধক
  • সংগঠন ও প্রশিক্ষণের স্তর
  • তিনটি আঞ্চলিক সম্মেলন
  • মধ্যভারতের সম্মেলন
  • ইসলামী দাওয়াতের রিপোর্ট ও তার পর্যালোচনা
  • একটি অর্থনৈতিক স্কীম
  • সংগঠন, তরবিয়ত ও তাকিয়া
  • সমাজ স্বয়ং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
  • সম্মেলনের উদ্দেশ্য
  • তরবিয়তী ব্যবস্থা খানকাহী নয়- আন্দোলনমূলক
  • যাহের ও বাতেনের সংশোধনের কাজ
  • উত্তর ভারতীয় সম্মেলন
  • রুকনিয়াতের শপথ ও স্থবিরতা
  • দিল্লী সম্মেলন
  • কর্মীদের গুণাবলী
  • মুবাল্লিগের সর্বোৎকৃষ্ট কাজ
  • কাইয়েমে জামায়াত নিয়োগ
  • হায়দরাবাদ সম্মেলন
  • মাওলানার উদ্বোধনী ভাষণ

অষ্টম অধ্যায়

  • প্রথম নিখিল ভারত জামায়াতে ইসলামী সম্মেলন
  • আমীরে জামায়াতের উদ্বোধনী ভাষণ
  • জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত
  • নবীগণের আগমনের উদ্দেশ্য: নবী মুস্তাফার (সঃ) সে উদ্দেশ্য পূরণের পদ্ধতি

নবম অধ্যায়

  • সম্প্রসারণ ও উন্নতির যুগ
  • দ্বিতীয় নিখিল ভারত জামায়াতে ইসলামী রুকন সম্মেলন
  • জামায়াতে ইসলামীর শূরায়ী নিযামের (পরামর্শ ভিত্তিক ব্যবস্থার) ক্রমোন্নতি
  • জামায়াতে সমালোচনার নিয়মিত ব্যবস্থা
  • সমাজের মধ্যে জামায়াতের প্রভাব বিস্তার
  • উলামায়ে কেরামের মধ্যে দাওয়াতের প্রভাব
  • আধুনিক শিক্ষিত লোকের মধ্যে জামায়াতের প্রভাব
  • জামায়াতে ইসলামী ও তাগুতী শাসন
  • অন্যান্য মহলে জামায়াতের প্রভাব
  • বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা
  • মহিলাদের মধ্যে কাজ
  • বহির্বিশ্বে জামায়াতের প্রভাব
  • দাওয়াতী সাহিত্য প্রণয়ন
  • তরজমার ব্যবস্থাপনা

দশম অধ্যায়

  • চারটি ঐতিহাসিক সম্মেলন
  • মাদ্রাজ সম্মেলন (২৫ শে ও ২৬ শে এপ্রিল)
  • ভারতীয় মুসলমানদের ভবিষ্যত কর্মসূচি
  • পাটনা সম্মেলন (২৫ শে ও ২৬ শে এপ্রিল ১৯৪৭)
  • পাঠানকোট সম্মেলন (৯ই ও ১০ই মে- ১৯৪৭)
  • জনসভায় ভাষণ দেয়ার জন্যে বক্তার মান নির্ণয়
  • প্রশ্নমালা

একাদশ অধ্যায়

  • পাকিস্তান আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী
  • শাহ ওলী উল্লাহ দেহলবী (রঃ)
  • সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরলভী (রঃ) ও শাহ ইসমাঈল শহীদ (রঃ)

দ্বাদশ অধ্যায়

  • জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য
  • ইসলামী আন্দোলনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা
  • গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
  • মুসলিম জাতীয়তার আন্দোলন
  • ইসলাম আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • মাওলানা একজন নওমুসলিম
  • আন্দোলনের দ্বিতীয় যুগ
  • আন্দোলনের পতনযুগ
  • ইসলামের বর্তমান অবস্থা
  • ইসলাম ও তার দাবী
  • একটি ইসলামী জামায়াতের দাবীসমূহ
  • যারা কাজ করতে চায় তাদের জন্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
  • পাকিস্তান প্রকৃতপক্ষে কিরূপ হওয়া উচিত
  • অখণ্ড ভারতের পজিশন
  • কুরআন কি বলে
  • আমাদের সম্পর্ক
  • আমাদের পদমর্যাদা
  • প্রকৃত ইসলামী লক্ষ্য
  • এ লক্ষ্যে পৌঁছুবার সোজাপথ
  • পাকিস্তান আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত
  • মুসলিম ও অমুসলিমদের সামনে ইসলামের দাওয়াত
  • মানুষের ধ্বংসের প্রকৃত কারণ
  • মানুষের কল্যাণ কিভাবে হতে পারে?
  • ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কর্মপন্থা
  • রাষ্ট্রের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশ
  • ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য
  • ইসলামী বিপ্লবের পথ
  • নবী পাকের (সঃ) সে আহ্বানের প্রতিক্রিয়া
  • হিজরতের পর আন্দোলন

ত্রয়োদশ অধ্যায়

  • দেশ বিভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও জনসেবা
  • জামায়াতে ইসলামী ও জনসেবা
  • দারুল ইসলাম, পাঠানকোট
  • দারুল ইসলাম বস্তির অতি বেদনাদায়ক দৃশ্য
  • কেন্দ্রীয় জামায়াত লাহোরে স্থানান্তরিত
  • জামায়াতে ইসলামী দু'ভাগে বিভক্ত

চতুর্দশ অধ্যায়

  • জামায়াতের সাহিত্য সৃষ্টি
  • জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য

পঞ্চদশ অধ্যায়

  • কাজের মূল্যায়ন
  • বারো দফা আলোচ্য বিষয়
  • সার্বভৌমত্বের ধারণা ও খেলাফতের মতবাদ
  • স্বাধীনতার ধারণা
  • নেতৃত্বের ধারণা
  • শুণগত সদস্যপদ
  • গণতন্ত্রের ধারণা
  • সংগঠনের ধারণা
  • জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও গণতান্ত্রিক দসগুলোর সভাপতির মধ্যে পার্থক্য
  • ধর্ম ও রাজনীতির মধ্যে পার্থক্যের ধারণা
  • জাতীয়তার ধারণা
  • ইসলামের ধারণা
  • মৌলিক অধিকারের ধারণা
  • শাসনব্যবস্থা ও সরকার পরিবর্তনের ব্যাপারে পার্থক্য
  • জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ
  • জামায়াত এক নতুন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
  • সত্য কি শুধু জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেই সীমিত?
  • দ্বীন ইসলামকে আন্দোলন হিসেবে পেশ করা
  • একামতে দ্বীনের ধারণা একটা পাগলামি
  • জামায়াতের বাইরে কি ইসলাম নেই?
  • রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের লালসা
  • ব্যক্তি সংস্কারের পরিবর্তে সমষ্টির সংস্কারের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে
  • জামায়াতে ইসলামীর থিওক্র্যাসির (Theocracy) পতাকাবাহী
  • জামায়াতে ইসলামী একটি নতুন ফের্কা
  • উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কারণ

পরিশিষ্ট

  • একখানা পত্র
  • জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সার্কুলার
  • এক নজরে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনসমূহ
  • তজুমানুল কুরআনের কিছু মূল্যবান কথা
  • জামায়াত প্রতিষ্ঠাতার কিছু মূল্যবান কথা:
    • দল গঠনের আবশ্যকতা
    • তবলীগ ও বিপ্লব
    • ইকামতে দ্বীন একটি অটল ও অপরিহার্য কর্তব্য
    • হুকুমতে ইলাহিয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টি
    • সত্য পথের দাবী
  • সন্দেহ-সংশয় নিরসন
  • মাওলানার জবাব

দ্বিতীয় খণ্ড: জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস - ১৯৪৭-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত

প্রথম অধ্যায়

  • জামায়াতে ইসলামী কী
  • ইসলামী আন্দোলন যুগে যুগে
  • দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলামী আন্দোলন
  • জামায়াত প্রতিষ্ঠাতার সংক্ষিপ্ত পরিচয়
  • জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা লাভ
  • জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ ও জামায়াতে ইসলামী
  • পাকিস্তান আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী
  • দ্বি-জাতিতত্ব ও মাওলানা মওদূদী

দ্বিতীয় অধ্যায়

  • পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা লাভ
  • স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২৮
  • দেশ বিভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও জামায়াতে ইসলামী ২৯
  • পাকিস্তানে ইসলামী আন্দোলন যেভাবে শুরু
  • ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
  • ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সূচনা ৪৩
  • ইসলামী শাসনতন্ত্রের ২২ দফা মূলনীতি প্রণয়ন ৮৮

তৃতীয় অধ্যায়

  • বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী
  • জামায়াতে ইসলামী ও মাওলানা আব্দুর রহীম ৪৭
  • পূর্ববঙ্গ ও আসামের প্রথম ইউনিট
  • ঢাকায় কাজের সূচনা
  • স্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের নেতৃত্ব
  • জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস ২য় খণ্ড ৭
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে স্মারক লিপি প্রদান
  • সমকালীন রাজনৈতিক অবস্থা
  • মাওলানা আব্দুর রহীমকে প্রাদেশিক জামায়াতের সেক্রেটারি নিয়োগ
  • পূর্ব পাকিস্তানে জামায়াত প্রতিনিধিদের সফর
  • পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের প্রথম আমীর
  • প্রথম প্রাদেশিক অফিস
  • মাওলানা মওদূদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
  • ফাঁসির কক্ষে মাওলানা মওদূদী

চতুর্থ অধ্যায়

  • জনাব আব্দুল খালেকের জামায়াতে যোগদান
  • অধ্যাপক গোলাম আযমের জামায়াতে যোগদান
  • অধ্যাপক গোলাম আযমের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
  • কারাগারে অধ্যাপক গোলাম আযমের রুকনিয়াতের শপথ
  • রংপুরে অধ্যাপক গোলাম আযমের সাংগঠনিক তৎপরতা
  • অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন
  • জনাব আব্বাস আলী খানের জামায়াতে যোগদান
  • সংগঠনের নির্দেশে আব্বাস আলী খান সাহেবের চাকরি থেকে ইস্তফা

পঞ্চম অধ্যায়

  • করাচি রুকন সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল
  • প্রথম প্রাদেশিক আমীর নির্বাচন
  • মাওলানা মওদূদীর প্রথম পূর্ব পাকিস্তান সফর
  • ঢাকায় মাওলানার অবস্থান
  • মাওলানা মওদূদীর ৪০ দিনের সফর সূচি
  • সভা-সম্মেলনে মাওলানার আলোচনার বিষয়
  • মাওলানা মওদূদীর সফরের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
  • মাওলানা মওদূদীর সফরের পর
  • আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলাম বিরোধী পরিকল্পনা

Top


মুখস্থঃ


বাইয়াত সংক্রান্ত কুরআনের আয়াতসমূহ

১. সূরা আত-তাওবা: ১১১

اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ ؕ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ فَیَقۡتُلُوۡنَ وَ یُقۡتَلُوۡنَ ۟ وَعۡدًا عَلَیۡهِ حَقًّا فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ وَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ مَنۡ اَوۡفٰی بِعَهۡدِهٖ مِنَ اللّٰهِ فَاسۡتَبۡشِرُوۡا بِبَیۡعِكُمُ الَّذِیۡ بَایَعۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ ذٰلِكَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ

অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোমরা (আল্লাহর সংগে) যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই মহাসাফল্য।

২. সূরা আল-আন'আম: ১৬২

﴾ۙقُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُكِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۲

অর্থ: বল, ‘নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব’।

৩. সূরা আল-ফাতহ: ১০

اِنَّ الَّذِیۡنَ یُبَایِعُوۡنَكَ اِنَّمَا یُبَایِعُوۡنَ اللّٰهَ ؕ یَدُ اللّٰهِ فَوۡقَ اَیۡدِیۡهِمۡ ۚ فَمَنۡ نَّكَثَ فَاِنَّمَا یَنۡكُثُ عَلٰی نَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ اَوۡفٰی بِمَا عٰهَدَ عَلَیۡهُ اللّٰهَ فَسَیُؤۡتِیۡهِ اَجۡرًا عَظِیۡمًا

অর্থ: আর যারা তোমার কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করে, তারা শুধু আল্লাহরই কাছে বাই‘য়াত গ্রহণ করে; আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর; অতঃপর যে কেউ ওয়াদা ভঙ্গ করলে তার ওয়াদা ভঙ্গের পরিণাম বর্তাবে তারই উপর। আর যে আল্লাহকে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করবে অচিরেই আল্লাহ তাকে মহা পুরস্কার দেবেন।

৪. সূরা আল-ফাতহ: ১৮ (বাই‘আতে রিদওয়ান)

لَقَدۡ رَضِیَ اللّٰهُ عَنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اِذۡ یُبَایِعُوۡنَكَ تَحۡتَ الشَّجَرَۃِ فَعَلِمَ مَا فِیۡ قُلُوۡبِهِمۡ فَاَنۡزَلَ السَّكِیۡنَۃَ عَلَیۡهِمۡ وَ اَثَابَهُمۡ فَتۡحًا قَرِیۡبًا

অর্থ: অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কী ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে।

৫. সূরা মুমতাহিনা: ১২ (নারীদের বাই‘আত)

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ إِذَا جَآءَكَ ٱلْمُؤْمِنَـٰتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰٓ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِٱللَّهِ شَيْـًۭٔا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَـٰدَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَـٰنٍۢ يَفْتَرِينَهُۥ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِى مَعْرُوفٍۢ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَٱسْتَغْفِرْ لَهُنَّ ٱللَّهَ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ

অর্থ: হে নবী, যখন মুমিন নারীরা তোমার কাছে এসে এই মর্মে বাইআত করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, তারা জেনে শুনে কোন অপবাদ রচনা করে রটাবে না এবং সৎকাজে তারা তোমার অবাধ্য হবে না। তখন তুমি তাদের বাইআত গ্রহণ কর এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

বাইয়াত সংক্রান্ত হাদিসসমূহ

১. সাধ্যমতো আনুগত্যের অঙ্গীকার (আবু দাউদ ২৯৩০)

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا نُبَايِعُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَيُلَقِّنُنَا فِيمَا اسْتَطَعْتَ‏

অর্থ: ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ মর্মে বায়'আত গ্রহণ করতাম যে, আমরা তাঁর কথা শুনব এবং আমল করব। আর তিনি আমাদেরকে এরূপ শিক্ষা দিতেন যে তোমরা তোমাদের সাধ্যমত দীনের কাজ করবে

২. একাধিকবার বাইয়াত নেওয়া প্রসঙ্গে (বুখারী ৬৭১৫)

عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ بَايَعْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَقَالَ لِي ‏"‏ يَا سَلَمَةُ أَلاَ تُبَايِعُ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَايَعْتُ فِي الأَوَّلِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَفِي الثَّانِي ‏"‏‏.

অর্থ: সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বৃক্ষের নিচে বায়আত (বায়আতে রিদওয়ান) গ্রহণ করেছিলাম। পরে তিনি আমাকে বললেনঃ হে সালামা! তুমি বায়'আত গ্রহণ করবে না? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো প্রথমবার বায়আত গ্রহণ করেছি। তিনি বললেনঃ দ্বিতীয়বারও গ্রহণ কর

Top


মাসআলাঃ নামায সংক্রান্ত (Go)

Top

"সর্বস্বত সংরক্ষিত© ২০২৩ এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার; ব্লগঃ ডিজাইনে SIAAM