logo

HOMOEOPATHY DOCTOR


🌿 Wart (আঁচিল)

আঁচিলের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি -১: আইডি নং- ৩৩৬৩ , বয়স ৬, ডান হাতে শক্ত আঁচিল প্রায় ২ বছর যাবত। অনেক চিকিৎসার পরও ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল।

গত ২৭/১০/২০১৯ ইং আমাদের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে। বংশগত ও মানসিক লক্ষ্মণ বিশ্লেষণ করে Thuja 1m ও প্লাসিবো দিয়ে ১৫ দিন পর দেখা করতে বলি। কিন্তু সে আর আসেনি, ১ মাস পর তার নানী এসে বলছেন যে আঁচিল হাত থেকে খসে পড়ে গেছে। এত দ্রুত সুফল পাওয়ায় মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ।

রসস্রাবী আঁচিলের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি -২: আইডি নং -৩৩৬১ , বয়স 42, ঠিকানা - গ্রামঃ গালা, থানা- সদর, জেলা - টাংগাইল।


গত ২৬/১০/১৯ ইং তারিখে চিকিৎসার জন্য আমাদের এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার এ আসেন।
তার রোগ বিবরণী

১. পায়খানার রাস্তা থেকে একটু দূরে রসস্রাবী আঁচিল, ( সবার ধারণা- অর্শ) প্রায় ১ বৎসর যাবত। রস ঝরে, চুল্কায়, ঠান্ডা পানিতে চুল্কানি বাড়ে।
২. প্রস্রাব ২ ভাগ হয়ে পড়ে। গরম, ৩ দিন যাবত জ্বালা পোড়া করে।
৩- ঠান্ডা লাগলে শ্বাস কষ্ট বাড়ে।
৪- পায়ের তলায় বয়ড়া আছে।
৫-কাজ করার সময় হাতের তলা ঘামে।
-অর্শের জন্য বিভিন্ন সময়ে এলোপ্যাথি, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবন করেছেন, কিন্তু রস ঝরা থামেনি।
অতীত রোগ বিবরণী- জ্বর সর্দি লেগেই থাকে, ছোট সময় পেটের রোগে ভুগেছেন, এলার্জি ছিলো, এলোপ্যাথি Cotrime জাতীয় ঔষধ সেবনে এলার্জি বাড়ত।
বংশগত রোগ- বড় কাকার যক্ষা ছিলো, অন্য ২ কাকার অর্শ আছে। পিতাকে ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরত।
মানসিক লক্ষ্মণ - হঠাৎ করে রাগ উঠে। অন্ধকার , ভুত, কুকুর, গরু দেখে ভয় পায়।
খাবার - লবন, গুড়া ( ছোট) মাছ, খাসির মাংস প্রিয়। রুটি অসহ্য, খেলে কষা মল বের হয়, দুধ অপ্রিয়, মিষ্টি কম প্রিয়।
পাকস্থলী- পেটে গ্যাস আছে।
অংগ- প্রত্যংগঃ কাজ করার সময় হাত ঘামে। পায়ের তলায় কড়া আছে, বা পায়ে ৩ টি, ডান পায়ে ১ টি।
মাথাঃ মাথা ব্যাথা কপাল হতে শুরু হয়ে কানের পিঠ দিয়ে ঘাড় পর্যন্ত নামে। ব্যাথা যে কোন সময় শুরু হয়।
ঘুম- ভালো। স্বপ্ন - মৃত মানুষ, Accident, মেয়ে মানুষ দেখে।
মলঃ কষা, মাঝে মাঝে পায়খানা করতে বসলে বেগ চলে যায়।
আরও অন্যান্য লক্ষন জেনে নিয়ে ওইদিন আমি অর্শ না ধরে ছবি নিয়ে দেখি এটা রস শ্রাবি আঁঁচিল, এবং তাকে Thuja Oc M/2 ও প্লাসিবো দিয়ে দিই, (ছবি সংরক্ষিত) । পরে তিনি নির্ধারিত সময়ে না এসে গত ২৫/১১/২০১৯ তারিখে আসলে দেখি যে রস ঝরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোন আঁচিল নেই। পরবর্তীতে Thuja M/3 দেয়ার পর জানতে পেরেছি তার আঁচিল আর দেখা যায় নি, অন্যান্য লক্ষ্মণ অনেকটা দুর হয়েছে।

এটা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অপার মেহেরবানী যে রোগির প্রায় ২ বৎসর রোগ যাতনার কষ্ট এত দ্রুত সুস্থ করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের উপর তাঁর রহমত অব্যাহত রাখুন এই প্রার্থনা করি সব সময়।

Avatar

আঁচিল কি: আঁচিল হলো ত্বকের উপরিভাগে সৃষ্ট ছোট, শক্ত ও খসখসে গঠনযুক্ত একটি বৃদ্ধিশীল অংশ, যা মূলত ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত বেদনাহীন হলেও সৌন্দর্যহানী ও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আঁচিলের প্রকারভেদ: আঁচিল বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যেমন – (১) সাধারণ আঁচিল (Common wart), (২) পায়ের পাতার আঁচিল (Plantar wart), (৩) চ্যাপ্টা আঁচিল (Flat wart), (৪) যৌনাঙ্গের আঁচিল (Genital wart), (৫) সুতো আকৃতির আঁচিল (Filiform wart)।

আঁচিল হওয়ার মূল কারণ: হোমিও চিকিৎসা মতে- "সাইকোসিস", আঁচিল হওয়ার প্রধান কারণ হলো Human Papilloma Virus (HPV) নামক ভাইরাসের সংক্রমণ। এটি ত্বকের কোষকে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করতে উদ্দীপ্ত করে।

আনুষঙ্গিক কারণ: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ঘন ঘন আঁচিল আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা, ঘামাচ্ছন্ন অবস্থা, এবং ত্বকে ছোটখাটো আঘাত বা কাটা আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।

আঁচিলের জটিলতা: সাধারণত আঁচিল মারাত্মক নয়, তবে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সৌন্দর্যহানী ঘটাতে পারে এবং মাঝে মাঝে ব্যথা বা রক্তপাতও হতে পারে। যৌনাঙ্গের আঁচিল মারাত্মক জটিলতায় রূপ নিতে পারে।

ভাবী ফল: চিকিৎসা না করলে আঁচিল দীর্ঘদিন থেকে যেতে পারে এবং নতুন নতুন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে তা ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে, বিশেষত যৌনাঙ্গের আঁচিল।

ইনভেস্টিগেশন: সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা দ্বারাই আঁচিল নির্ণয় করা যায়। তবে প্রয়োজনে বায়োপসি বা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য বিশেষ পরীক্ষা করা যেতে পারে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ঔষধ: আঁচিলের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি অত্যন্ত কার্যকর। লক্ষণ ও রোগীর স্বভাব অনুযায়ী বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয় যেমন – Thuja Occidentalis, Antimonium Crudum, Nitric Acid, Causticum, Dulcamara, Sepia, Graphites প্রভৃতি। বিশেষত Thuja আঁচিলের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ঔষধ।

করণীয়: আঁচিল দেখা দিলে অযথা খোঁচাখুঁচি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং আঁচিল আক্রান্ত জায়গা ঢেকে রাখা উচিত।

নিষেধ: আঁচিল কেটে ফেলা বা খোঁচানো উচিত নয়, এতে সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। আঁচিল আক্রান্ত অন্যের জিনিস যেমন তোয়ালে, রেজার ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপসংহার: আঁচিল একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা। এটি ভাইরাসজনিত হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এর জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হতে পারে। তাই সচেতনতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যথাযথ চিকিৎসাই আঁচিল নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।

সূত্র: WHO, DGHS, হোমিও রেফারেন্স বইসমূহ থেকে সংগৃহীত; ChatGPT (OpenAI)-এর সহায়তায় প্রস্তুতকৃত।

"সর্বস্বত সংরক্ষিত© ২০২৩ এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার; ব্লগঃ ডিজাইনে SIAAM