logo

HOMOEOPATHY DOCTOR



🌿 ভৈষজ্য বিচার

🌿 মৃত্যুর লক্ষণ (Signs of Death)

"এসফেক্সিয়াতে" নিম্নলিখিত লক্ষণ সকল প্রকাশ পায়:-

মুখ, ওষ্ঠ, হস্ত এবং পদের নখ নীলবর্ণ ধারণ করে। মুখ হইতে ফেনা নির্গত হয়। মস্তিষ্কে রক্তাধিক্য হয়। মল মূত্র ও শুক্র অনিচ্ছাবশতঃ নির্গত হয়।

ডেথ বাই কোমা (Death by coma)

মস্তিষ্ক এবং ঝিল্লিসমূহ ও রক্তবাহী নালীসমূহের কোনরূপ বিকৃত অবস্থা বশতঃ ক্রিয়ার ব্যাঘাত হইলে যে মৃত্যু হয় তাহাকে কোমা বলে।

Cause বা কারণ:

(১) "এপোপ্লেক্সী" (২) মস্তিষ্কের অস্থি মগ্ন হইলে (৩) মস্তিস্কের উপরে কোনরূপ চাপ অথবা উহার কোমল বিধানের ধবংস হইলে।

ইহাতে নিম্নলিখিত লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়। যথা-শ্বাস প্রশ্বাসে এক প্রেকার ঘড় ঘড় শব্দ হয়, রোগী সংজ্ঞাশূন্য অবস্থায় পড়িয়া থাকে। মাংস পেশী সমূহের ক্রিয়া লোপ হয়। কিয়তকালের জন্ম শ্বাস প্রশ্বাস অসম্পূর্ণরূপে বহিতে থাকে; এবং ক্রমে ক্রমে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত হওয়াতে রক্ত দূষিত হইয়া মৃত্যু ঘটিয়া থাকে। মস্তিষ্কের ক্রিয়া লোপ হেতু মৃত্যু এবং "এপনিয়া" দ্বারা মৃত্যু এই উভয়েরমধ্যে বক্ষঃগহ্ববরে লক্ষণ সমুদয়ের বিশেষ কোন পাথক্য দেখা যায় না।

পোষ্টমাটম লক্ষণ।

মস্তিষ্কে, উহার ঝিল্লিসমূহে এবং লাংসে রক্তাধিকা বর্তমান থাকে। হৃৎপিণ্ডের ক্ষণভাগে যে পরিমাণে রক্ত থাকে তাহা অপেক্ষা বাম কোটরে অতি অল্প রক্ত বিদ্যমান থাকে।

প্রকৃত মৃত্যু হইয়াছে কিনা, স্থির করিবার জন্য চিকিৎসক সময় সময় আহূত হইয়া থাকেন। এই জন্য মৃত্যুর চিহ্ন সমুদয় সম্যকরূপে অবগত হওয়া চিকিৎসকের একান্ত কর্তব্য।

এ স্থলে মৃত্যুর সকল চিহ্ন সকল সন্নিবেশিত হইলঃ

  1. শ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া সম্যরূপে লোপ হয়। হৃৎপিণ্ডের কোনরূপ "মার্মার" শুনিতে পাওয়া যায় না।
  2. চক্ষু জ্যোতিহীন হয়, কিন্তু মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এট্রোপিয়া ও "কেলেবারবিন্" দ্বারা আইরিস্ প্রসারিত হয়।
  3. কোন প্রবল উত্তেজক পদার্থ সংলগ্ন হইলে প্রতিক্রিয়া করে না। কিন্তু জানা উচিত যে মৃত্যুর অল্পক্ষণ পর বৈদ্যুতিক্ স্রোত ও আঘাত ইত্যাদির উত্তেজনায় পেশীসমূহ কুঞ্চিত হইতে পারে।
  4. সর্ব্বাঙ্গ পাংশুবর্ণ হয়। শারীরিক উত্তাপের লাঘব হয়।

সময় সময় ইহার ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয়।

  • ক। শরীরের বর্ণ লোহিতাভ থাকিলে, মৃত্যুর বর্ণ সত্বর পরিবর্তন হয় না।
  • খ। ক্ষত পার্শ্বস্থ আরক্তিমতা ত্বরিত লোপ হয় না।
  • গ। নীল, কৃষ্ণ অথবা লোহিত বর্ণের উল্কিরচিহ্ন সমুদয় জীবিতাবস্থায় তিরোহিত না হইলে মৃত্যুর পর আর হয় না।
  • ঘ। মৃত্যুকালে কলেবর পীতবর্ণ থাকিলে মৃত্যুর পরও পীতবর্ণ থাকে। যথা জণ্ডিস।
  • ঙ। "ডাং ডাইভাজি" বলেন যে কাঞ্জাবক এসিড্ দ্বারা বিষাক্ত হইলে শরীর গোলাপী লাল হয়, এই বর্ণ মৃত্যুর পর দূর হয় না।

৫। মৃত্যুর পর কিছুকাল পর্য্যন্ত দেহের উত্তাপ বর্তমান থাকে। স্থিতিস্থান অনুসারে মৃতদেহের উত্তাপ সত্বর কিম্বা বিলম্বে বহির্গত হইয়া যায়। নিম্নলিখিত নিয়মাবলীদ্বারা উপরোক্ত বিষয়টীও বণনা করা হইল :

ক। শীর্ণকায় অপেক্ষা স্থলকায় ব্যক্তিদিগের উত্তাপ বিলম্বে দূরীভূত হয়। বালক ও বৃদ্ধ অপেক্ষা যুবার উত্তাপ অধিককাল স্থায়ী হয়। শরীরের উত্তাপ মৃত্যুর পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে আরম্ভ হইয়া, ৮ কি ১২ ঘণ্টার মধ্যে বহির্গত হয়।

মৃতদেহ নিম্নলিখিত তিনটী কারণে শীতল হয়

  • ১। "বোডয়েশন" বা বিকিরণ।
  • ২। "কণ্ডাকশন" বা সঞ্চালন।
  • ৩। "কশেন" বা তাপ বিনিময়।

খ। জলমগ্ন মৃত দেহ, ভূবায়ুস্থিত মৃত দেহ অপেক্ষা সত্বর শীতল হয়। দেহের তাগদ্বারা জলমগ্ন ব্যক্তি জীবিত আছে কিনা নির্ণয় করা যায়।
খ। মৃতদেহ বস্ত্রাবৃত কিম্বা গোবর স্তূপ দ্বারা আবৃত থাকিলে বিলম্বে শীতল হয়।
গ। বজ্রাঘাতে মৃত্যু অথবা মৃতদেহ কুপের এবং গহবরের নীচে থাকিলে বিলম্বে শীতল হয়।
ঘ। শ্বাসরোধ দ্বারা মৃতু হইলে শীঘ্র তাপ হ্রাস হয় না।
চ। দেহের বাহিরে তাপ রহিত হইলেও আভ্যন্তরিক যন্ত্রে তাপ থাকিতে পারে। যেমন কলেরা, ইগুলোফিবার, রুমেটিক ফিবার। পক্ষান্তরে, সহসা কোন প্রবল পীড়ায় পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইলে দেহ বিলম্বে শীতল হয়। কলেরার মৃত্যুর পর দেহ কিঞ্চিৎ উষ্ণ বোধ হয়।

৬। ন্যূনাধিক পরিমাণে মৃত্যুর পর পেশী সমূহ শিথিল হয়। যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলি বর্তমান থাকে, তবে ১০। ১২ ঘণ্টা যাবৎ মৃত্যু হইয়াছে জানিবে।

৭। অক্ষিগোলকের স্থিতিস্থাপকতার হ্রাস হয়। এই অবস্থা মৃত্যুর পর ১২ হইতে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সংঘটিত হয়।

৮। মৃত্যুর পর শরীরের যে অংশ ভূমিতে সংলগ্ন থাকে, তথাকার পেশী সমূহ কুঞ্চনশক্তিরহিত হইয়া প্রশস্ত হয়। ইহা দ্বারা জীবনী শক্তির অভাব প্রতিপন্ন হয়।

৯। মৃতদেহ যে অবস্থায় থাকে মধ্যাকর্ষণ প্রভাবে তাহার অধোদিকে রক্ত সঞ্চিত হওতঃ যে আরক্তিমতা হয় তাহাকে হাইপোষ্টেসীস, (Hypostasis), সাজিলেসন্ (Suggilation) অথবা পোষ্টমার্টন স্ট্রেইনিং (Post martom staining) কহে। এই অবস্থা মৃত্যুর পর ৮ হইতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরম্ভ হইতে পারে, এবং পচন ক্রিয়ার প্রাকাল পর্যান্ত বৃদ্ধি হয়। "হেমারেজ" দ্বারা মৃত্যু হইলেও হাইপোষ্টেসিস্ হইতে পারে। "হাইপোষ্টেসিস্", অথবা "একিমোসিস্" সহ ভ্রম হইতে পারে। মৃত্যুর পর হাটে যে কাল বা "ক্লট" পাওয়া যায় তাহাকে পলিপি(Polypi) কহে। "মস্তিষ্ক" "কিডনী" "ইনটেস্টাইন" লাংস প্রভৃতি স্থানে "হাইপোষ্টেসিস্", "কঞ্জেশন” বলিয়ে ভ্রম হয়।

"একিমোসিস" এবং হাইপোস্টেসিস এর পার্থক্য।

------
"একিমোসিস" হাইপোস্টেসিস
১। আযাতিত স্থানে হয়। ১। শরীরের নিম্নাংশে হয়। (যে স্থানে চাপ না পরে)।
২। জীবিত অবস্থায় হইয়া থাকে থাকে। ২। ইহা মৃত অবস্থায় হইয়া থাকে।
৩। সীমাবদ্ধ থাকে। ৩। অসীম থাকে।
৪। কালশিরা বর্ণ। ৪। ঘোর লালবর্ণ।
৫। স্ফীত হয়। ৫। স্ফীত হয় না।
৬। কর্তন করিলে "সেলুলার-টীস্থতে" রক্ত জমা দেখা যায়। ৬। রক্ত, তরল "ক্যাপিলাড়ীতে থাকে এবং ফাঁটিলে বিন্দুং তরল রক্ত পতিত হয়।
৭। উঙিনাজ ক্ষুরং নাড়ী সকল ছিন্ন হইয়া উহার "সেলুলারটীপুতে" রক্ত জমা হয়। ৭। "তিটিমিউকোযমের" অভা-স্বরন্ত নাড়ী সকলে রক্ত জমা হয়।
৮। ২।১ দিবসের মধ্যেই ক্র-জের কিনারাগুলী লাল, পরে সবুজও হরিদ্রাবর্ণ ধারণ করে। ৮। গচনের পুঞ্জ পর্য্যন্ত রক্তের বর্ণ এই ভাবে থাকে।
৯। আকৃতি আঘাতের অনুরূপ হইয়া থাকে। ৯। ইহা রক্তবাহী ক্ষুদ্র? না-লীর গতি অনুসারে হইয়া থাকে।
১০। "ক্যাটাভাতিক" বিজিডিটী অথবা "বাইগর মাটিস্" কিম্বা "পোষ্ট-যাটম ডিভিডিটি-ইলা নাউধারা আর না: মৃত্যুর পর এইতে গচন আরম এইবার পাড়া পর্যংছ ইহা সংঘটিত।

মৃতব্যক্তির পৈাশক বিয়ানের নিম্নলিখিতত্তণ তিন প্রকার পরিবর্তন ঘটে। ১। ("মালকিউলার হাতটোবলিটি"। পৈশিক উত্তেজনা, পেশী সমু-যায় শিথিল হয়, কিন্তু তথাপি কোন নিশ্চিত উত্তেজক পদার্থ সংলগ্নে সঙ্কো-চিত হয়। মৃত্যুর সময় কোন কোন অংশের আক্ষেপ হয়। তাহাকে "কেডে-ভাতিক স্পেরম্” কহে। যেমন মৃতকল মুমুখ ব্যক্তি মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্ব্বে একখানা চুদী বা অল্প কোন পদার্থ হস্তে ধারণ করিলে মৃত্যুর পরও সেইরূপ অবস্থায় ধরিয়া রাখে। ২। (কেডাভেরিক্ রিজিডিটি") -দৃঢ়তার অবস্থা, সঙ্কোচন শক্তির অভাব। ৩। গচনের আরম্ভ এবং বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন। পুনরায় শিথিলতা উপস্থিত হয়। সঙ্কোচন শক্তি হ্রাস হইয়া যায় এবং তাহা পুনরায় উৎপন্ন হয় না। মৃতশরীরে "কেডেভেরিক্ রিজিডিটি" অথবা "রাইগার মটিসের" আরম্ভ। ১। চক্ষুর পাতা (Exo-lid) ২। বিচুক (নীচের দস্ত পংক্তির হাড়)। ৩। ঘাড় (Back of neck)1 ৪। চিবুকের মাংস। (Muscles of lower jaw) ৫। মুখমণ্ডলের গেনী। ৬। গণ্ডস্থল এবং বক্ষস্থল। (Antirior side of the neck and chest) ৭। বাহুমূল (Upper extrimity)1 ৮। জয়দ্বান্বয় (Lower extrimity) এই আক্ষেপ ক্রিয়া যে স্থানহইতে প্রথমতঃ আরম্ভ হয়, সেই স্থানহইতেই ক্রমে শেষ হইয়া থাকে। অতঃপর শরীর শীতলহইলে পুনরায় "রায়গা রত্নটিস" প্রত্যাগমন করে না। কেহ২ বলেন যে ইচ্ছাধীন পেশী সকলের মধ্যে২ "এলুমেনট্রেনচ্ ভাঙবে ণ্ড" (Albumenus tranverse band) সংযুক্ত কইয়া সংঘটিত হয়। অন্য কেহ এইমত প্রকাশ করেন যে ফাইত্র এবামনাচ" নায়ক হইয়া এই ক্রিয়া উপস্থিত করে। "কেডাভেরিক রিভিডিট'। মৃত্যুর পর আট হইতে বার ঘণ্টার মধ্যে "কেজাভোরৎ রিমিডিটি" নিশ্চয়ই হইবে। ৫। ৬ ঘণ্টার আরম্ভ হয়। কোনং ঘটনায় অপেক্ষাকৃত সত্বরও আরম্ভ হয়; এবং চারি হইতে নয় দিবস পর্যাপ্ত থাকিতে পারে। ইহা নীতপ্রধান দেশে সমধিক দৃষ্ট হইয়া থাকে, কিন্তু এইদেশে ২/১ ঘণ্টার মধ্যে পচন ক্রিয়া আরম্ভ হয় এবং শীম শীঘ্রহ শেষ হয়। আহফেনদ্বারা মৃত্যু হইলে কখন কখন "কেডেভোরক রিাজাভটি" আরম্ভ হয় না। আর যাদ উপস্থিত হয় তবে শীঘ্রই নিঃশেষিত হয়। "কাব্ব-নিক্ এসিড্ দ্বারা বিষাক্ত হহলে আত অন্নমাত্র "রায়গার মর্টিস্" হয়; কিন্তু "ইকানয়া" দ্বারা বিষাক্ত হইয়া মৃত্যু হইলে অতি সত্বর আরম্ভ হয় এবং দীর্ঘ-কাণ পর্য্যন্ত বর্তমান থাকে। অন্নবয়স্ক বালক ব্যালকাদিগের "কেডাভেরিক্ রিপ্রজাডটি" অগ্রবল এবং ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুকালে শরীরের তাপের লাঘবতা "শোধমাটম রিাজাডটির" সহায়তা করে। উত্তাপের লাঘবের সহিত যাদ নিশার অবস্থা (অর্থাৎ মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্ব্বে কোন মাদক জিনিষ খাইলে) থাকে তবে "রাইগারমটিস্ অত্যন্ত বৃদ্ধি হয়। কখন২ পচন সময়ে কোন২ স্থলে "রাইগারমাটস্" হয়। "কেডাভেরিক্ রিজিডিটি" এবং "কেডাভেরিক্ স্পেজেমের" পার্থক্য। ১। "কেডাভেরিক্ রিজিডিটি"- ইহাতে মৃত্যুর পূব্বে যাব হস্তে কোন বস্তু রাখা যায়, তবে তাঁহা অনায়াসে লওয়া যায়। ২। শরীর অভান্ত শক্ত এবং অন-মনীর হয়। ১। "কেডাভেরিক্ স্পেজম্"-ই-হাতে কোন বস্তু মৃত্যুর পূর্ব্বে হস্তে থাকিলে সহজে ছাড়ান যায় না। ২। শরীর অল্প পরিমাণে শক্ত হয় এবং সহজে নত করা যায়।

PUTREFACTION বা পচন।

নিম্নলিখিত আভ্যন্তরিক অবস্থার পরিবর্তানুসারে বিলম্বে কিম্বা শীঘ্র প্রজন আরম্ভ হয়। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার পর পচন আরম্ভ হইয়া থাকে, পচন উচিত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি এই গানে সন্নিবেশিত হইল।

সূত্র: ভৈষজ্য বিচার- থেকে সংগৃহীত; Gimini (OpenAI)-এর সহায়তায় প্রস্তুতকৃত।

সংকলনে:ডাঃ ইবনে আসাদ আল মামুন,টাঙ্গাইল

🔼

হোম
"সর্বস্বত সংরক্ষিত© ২০২৩ এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার; ব্লগঃ ডিজাইনে SIAAM