কি পয়েন্ট
মানসিক লক্ষণ:
-ব্যর্থ প্রেমে শোকাচ্ছন্ন/ মানষিক আঘাতের কুফল।
-আতঙ্কিত হওয়ার অসাধারণ প্রবণতা।
-প্রায়শ পরিবর্তনশীল, অধৈর্য, অস্থিরমতি, ঝগড়াটে; প্রতি তিন বা চার ঘণ্টা পর পর লক্ষণের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
-মেজাজের অস্বাভাবিক পরিবর্তন; একবার কৌতুক ও হাসি, আবার কান্না – প্রতি তিন-চার ঘণ্টায় পর্যায়ক্রমে দেখা দেয়।
-ফিসফিসে কন্ঠ, জোরে কথা বলতে পারে না।
-নাজুক মেজাজ ও সুস্পষ্ট সচেতনতা।
-চমৎকার সংবেদনশীল ও বিবেকবান; সামান্য নিন্দা বা বিরোধিতা তাকে উত্তেজিত করে।
-মনোভাবের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
মাথা:
-মাথায় উত্তাপ, ভারীভাব; মাথা সামনে ঝুলিয়ে রাখে।
-সামনে ঝুঁকলে মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
-কপালে কামড়ানো ব্যথা, নাকের গোড়ায় ব্যথা; বমির প্রবণতা।
-মস্তিষ্কে শক্ত কিছু দিয়ে চাপ দেওয়ার মতো ব্যথা, আকস্মিক আবেশে আক্রমণ।
-ধমনীর প্রতিটি স্পন্দনে দপদপানিযুক্ত মাথাব্যথা।
মুখ ও গলা:
-শ্রবণনালীতে চুলকানি, ঠোঁটের ভেতর ব্যথা, দগদগে ভাব।
-ঠোঁট ফাটা ও রক্তপাত।
-জিহ্বার পেছনে কামড় লাগার প্রবণতা।
-তালুতে সূচ ফোটানো অনুভূতি, মুখে টক স্বাদ।
-গলার গ্ল্যান্ডে কামড়ানো ব্যথা, খাদ্যনালীতে সুড়সুড়ি ও তিক্ত তরল উদগিরণ। শক্ত খাবারে উপশম
-খাবার গেলার সময় গলায় ছিপ ঢোকার মতো অনুভূতি।
-গলায় খোঁচামারা অনুভূতি, গেলার সময় কমে যায়।
উদর ও হজম:
-উদরোর্ধ্ব এলাকায় ব্যথা, তামাক পানে অনীহা।
-পাকস্থলিতে খালি অনুভূতি ও থলথলে ভাব।
-উদরের ওপর দুর্বলতা ও মুখের বিবর্ণতা।
-অন্ত্রে গড়গড় ও গুড়গুড় শব্দ, নাভির ওপরে তীক্ষ্ণ ব্যথা।
মলনালী:
-মলত্যাগের সময় মলদ্বার বাইরে চলে আসে।
-প্রচণ্ড মলবেগ, কিন্তু পূর্ণ মলত্যাগ হয় না।
-মলদ্বারে সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা, সংকোচন ও অর্শের মতো কষ্ট।
-রক্তবিহীন অর্শ, দাঁড়িয়ে বা বসে ব্যথা বেশি, হাঁটলে উপশম।
-সন্ধ্যার দিকে মলত্যাগের ইচ্ছা বাড়ে, কিন্তু মলত্যাগ হয় না।
মূত্র ও যৌনাঙ্গ:
-প্রচুর পরিমাণে ঘনঘন প্রস্রাব।
-যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ও ব্যথা।
-যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুপস্থিত, কখনো আবার অতিরিক্ত।
শ্বাসযন্ত্র:
-কাশির প্রবণতা, কাশলে উপশম হয় না বরং কাশি দমন করলে আরাম।
-গলায় শুকনো গুঁড়ার মতো অনুভূতি, কাশলে উপশম হয় না।
-শ্বাস টানার সময় ভার, যেন ওজন চাপানো আছে।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ:
-স্যাক্রামে ব্যথা, সকালে চিৎ হয়ে শুলে বাড়ে।
-হাত পেছনে বাঁকালে সন্ধিতে ব্যথা, যেন পরিশ্রম করেছে।
-ডেলটয়েডে শিহরন, হাঁটু গরম ও নাক ঠাণ্ডা।
-ঘাড়, উরু, হাঁটুতে মচকে যাওয়ার মতো ব্যথা।
ঘুম ও স্বপ্ন:
-ঘুম হালকা, ঘুমের মধ্যে সব শুনতে পায়।
-একই বিষয় নিয়ে সারারাত স্বপ্ন দেখে।
-ঘুমের মধ্যে নাকডাকা।
ত্বক ও শরীর:
-এক কান ও এক গাল লাল ও গরম।
-হঠাৎ সারা শরীরে উত্তাপ, মুখ লালাভ, কিন্তু ভিতরে ঠাণ্ডা।
-বাহ্যিক উত্তাপ অসহ্য, মনে হয় এখনই ঘাম হবে।
-শরীরে কাঁপিয়ে দেওয়া শীত।
Ignatia Amara
প্রথম শ্রেণির লক্ষণ (হ্যানিম্যান ও এলেন)
[ML Tylor- Translate by- Dr. S Hasan- p 528-530]১. আতঙ্কিত হইবার অসাধারণ প্রবণতা।
২. প্রায়শ পরিবর্তনশীল, অধৈর্য্য, অস্থিরমতি, ঝগড়াটে, তিন বা চার ঘণ্টা পর পর রোগের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
৩. মেজাজের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, কৌতুক, হাস্য, পুনরায় কান্না, প্রতি তিন-চার ঘণ্টায় পর্যায়ক্রমে।
৪. ফিসফিসে কণ্ঠ, জোরে কথা বলিতে পারে না।
৫. নাজুক মেজাজ ও সুস্পষ্ট সচেতনতা।
৬. চমৎকার সংবেদনশীল ও বিবেকবান, সামান্য নিন্দা বা বিরোধিতা তাহাকে উত্তেজিত করে।
৭. মনোভাবের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
৮. মাথায় উত্তাপ, ভারীভাব, মাথা সামনে ঝুলিয়া রাখে।
৯. সামনের দিকে ঝুঁকলেই মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
১০. কপালে কামড়ানো ব্যথা, নাকের গোড়ায় ব্যথা, বমির প্রবণতা।
১১. মস্তিষ্কে শক্ত কিছুর দ্বারা চাপ দেওয়া হইতেছে মনে হয়, আকস্মিক আক্রমণে আবিষ্ট হয়।
১২. ধমনীর প্রতিটি স্পন্দনে দপদপানিযুক্ত মাথাব্যথা।
১৩. শ্রবণনালীতে চুলকানি, ঠোঁটের ভিতর ব্যথা, দগদগে ভাব।
১৪. ঠোঁট ফাটা ও রক্তপাত।
১৫. জিহ্বার পিছনে কামড় লাগিবার প্রবণতা।
১৬. তালুতে সূচ ফোটানোর অনুভূতি, মুখে টক স্বাদ।
১৭. গলার গ্ল্যান্ডে কামড়ানো ব্যথা, খাদ্যনালীতে সুড়সুড়ি ও তিক্ত তরল উদগিরণ।
১৮. খাবার গেলার সময় গলায় ছিপ ঢোকার মতো অনুভূতি।
১৯. গলায় খোঁচামারা অনুভূতি, গেলার সময় কমে যায়।
২০. উদরোর্ধ্ব এলাকায় ব্যথা, তামাক পানে অনীহা।
২১. পাকস্থলিতে খালি অনুভূতি ও থলথলে ভাব।
২২. উদরের ওপর দুর্বলতা ও মুখের বিবর্ণতা।
২৩. অন্ত্রে গড়গড় ও গুড়গুড় শব্দ, নাভির ওপর তীক্ষ্ণ ব্যথা।
২৪. মলত্যাগের সময় মলদ্বার বাইরে চলে আসে।
২৫. প্রচণ্ড মলবেগ, কিন্তু পূর্ণ মলত্যাগ হয় না।
২৬. মলদ্বারে সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা, সংকোচন ও অর্শের মতো কষ্ট।
২৭. রক্তবিহীন অর্শ, দাঁড়িয়ে বা বসে ব্যথা বেশি, হাঁটলে উপশম।
২৮. সন্ধ্যার দিকে মলত্যাগের ইচ্ছা বাড়ে, কিন্তু মলত্যাগ হয় না।
২৯. প্রচুর পরিমাণে ঘনঘন প্রস্রাব।
৩০. যৌনাঙ্গে উত্তেজনা ও ব্যথা।
৩১. যৌন আকাঙ্ক্ষা অনুপস্থিত, কখনো আবার অতিরিক্ত।
৩২. কাশির প্রবণতা, কাশলে উপশম হয় না বরং কাশি দমন করলে আরাম।
৩৩. গলায় শুকনো গুঁড়ার মতো অনুভূতি, কাশলে উপশম হয় না।
৩৪. শ্বাস টানার সময় ভার, যেন ওজন চাপানো আছে।
৩৫. স্যাক্রামে ব্যথা, সকালে চিৎ হয়ে শুলে বাড়ে।
৩৬. হাত পেছনে বাঁকালে সন্ধিতে ব্যথা, যেন পরিশ্রম করেছে।
৩৭. ডেলটয়েডে শিহরন, হাঁটু গরম ও নাক ঠাণ্ডা।
৩৮. ঘাড়, উরু, হাঁটুতে মচকে যাওয়ার মতো ব্যথা।
৩৯. ঘুম হালকা, ঘুমের মধ্যে সব শুনতে পায়।
৪০. একই বিষয় নিয়ে সারারাত স্বপ্ন দেখে।
৪১. ঘুমের মধ্যে নাকডাকা।
৪২. এক কান ও এক গাল লাল ও গরম।
৪৩. হঠাৎ সারা শরীরে উত্তাপ, মুখ লালাভ, কিন্তু ভিতরে ঠাণ্ডা।
৪৪. বাহ্যিক উত্তাপ অসহ্য, মনে হয় এখনই ঘাম হবে।
৪৫. শরীরে কাঁপিয়ে দেওয়া শীত।
বিপরীতমুখী লক্ষন (J T Kent)
- ক্ষীণকায়া,অনুভুতি প্রবণ স্ত্রীলোক
- উত্তাপ, আরক্ততা, দপদপানি এবং দুর্বলতা (Bell) কিন্তু স্পর্শকাতরতা নাই, জোরে চাপ দিলে উপশম।
- গলার ভিতর স্ফীতিযুক্ত, প্রদাহিত এবং লালবর্ণ (Phytolacca, Rhus Tox) বেদনা চলমান, কিন্তু শক্ত খাবার খেলে উপশম।
- রোগী ব্যাথাযুক্ত পাশ চেপে শুলে আরাম পায়।
- অনেক দিন যাবত বমি, সকলের ধারণা, রোগী না খেয়ে বুঝি মারা যাবে, কিন্তু না, রোগী কফির ফালি বা পেঁয়াজ কুচি খেলে আরাম পায়।
- সকল প্রকার স্নায়বিক রোগ এবং উপসর্গ ঋতুকালে উপস্থিত হয়।
- জ্বরের সময় পিপাসা নেই, কিন্তু শীতের সময় পিপাসা লাগে।
- ইগ্নেশিয়া মনে করে যে সে কর্তব্য কর্মে অবহেলা করছে, এটা puls, Heliborus, Hyociamus- সদৃশ, কিন্তু Aurum মনে করে সে কোন গুরুতর অন্যায় করেছে।
- শিরঃপীড়া- রক্তসঞ্চয় প্রকৃতির ও চাপ দেয়ার ন্যায় অথবা মাথার চূড়ায় ( Bryonia Alb) পেরেক বিদ্ধ, চেপে শুলে উপশম।
- পাকস্থলী ঠান্ডা চায় কিন্তু বাহ্যিকভাবে গরম চায় ( Ars Alb- মাথায় ঠান্ডা চায় কিন্তু শরীরে গরম চায়।
- অত্যন্ত বেশি কফি পান, ধুমপান, ধুম আঘ্রান, তামাক সেবনে, মদ্যপান হেতু শিরঃপীড়া।
- দৃষ্টিশক্তির গোলযোগ সবকিছু আঁকাবাঁকা দেখে।
- বিশেষ উপদেশঃ রোগীর সমন্ধে কোন ভবিষ্যৎবাণী করিও না, শুধু শুনিয়া যাও, বিজ্ঞতার ভাব দেখাও এবং ঔষধ এর ব্যবস্থা করিয়া তোমার ব্যাগটি লইয়া চলিয়া আস।
[ জেমস টাইলার কেন্ট- লেকচার অন হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকার বাংলা অনুবাদ- পৃষ্ঠা ৪৩১]
এই তথ্য সাধারণ নির্দেশনা মাত্র। নির্দিষ্ট রোগ, গর্ভাবস্থা, শিশু বা গুরুতর জটিলতায় যে কোন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নেওয়ার আগে যোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গুরুতর সংক্রমণ, নিউরোলজিকাল দুর্বলতা বা অ্যালোর্জিক/লাইফ-থ্রেটেনিং অবস্থায় জরুরি আধুনিক চিকিৎসা প্রয়োজন।