
স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ মানে শুধু অসুখ না হওয়া নয় — এটি দৈনন্দিন জীবনযাপন, খাবার, ঘুম, মানসিক স্থিতি এবং প্রতিকারমূলক যত্নের সম্মিলিত সমন্বয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করলে রোগের ঝুঁকি কমে, ওষুধের প্রয়োজন হ্রাস পায় এবং রোগী দ্রুত ভালো থাকে।
নীচের তালিকাটি সাধারণ নির্দেশক — প্রতিটি রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ ও সম্পূর্ণ রূপে কনসাল্টেশন অনুযায়ী ঔষধ নির্ধারণ করা উচিত।
1. Calcarea carbonica — দুর্বল সংবহনী (constitution), ধীরে বৃদ্ধি, ঠাণ্ডায় ঠকাঝক, ক্লান্তি।
2. Calcarea phosphorica — হাড়-দাঁত বৃদ্ধিতে সহায়ক, ক্লান্তি, পুনরুদ্ধারে সহায়তা।
3. Natrum muriaticum — আবেগগত চাপ, দুঃখ-উদ্বাসীনতা, মাথা ও চামড়ার কিছু সমস্যা।
4. Nux vomica — কাজের চাপে অবসাদ, হজমনিক সমস্যা, অতিরিক্ত কফি/মদ্যপানের প্রভাবিত লক্ষণ।
5. Lycopodium clavatum — অজীর্ণতা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, স্বল্প আত্মবিশ্বাস, গ্যাস সমস্যা।
6. Silicea — দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা, নিম্ন প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্ষত আরোগ্য দ্রুত করতে, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় সহায়ক।
7. Arsenicum album — দুর্বলতা, দুর্বল প্রতিরোধ, দ্রুত ক্লান্তি (তবে তীব্র রোগে প্রয়োগ প্রফেশনাল পর্যবেক্ষণে)।
8. Ferrum metallicum — প্রথমিক দুর্বলতা ও অনির্দিষ্ট জ্বর-সামঞ্জস্য লক্ষণে ব্যবহৃত হতে পারে (রক্ত-অবস্থা যাচাই করে)।
9. Phosphorus — দুর্বলতা, ভেজা কাশি, উষ্ণ পরিবেশে ক্লান্তি, ভঙ্গুরতা কমাতে সহায়ক।
10. Sulphur — চামড়ার সমস্যা, জ্বলা-কামলা লক্ষণ, দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা।
11. Sepia — হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, নারীর নির্দিষ্ট লক্ষণে সহায়ক (কনসাল্ট প্রয়োজন)।
12. Pulsatilla — সংবেদনশীলতা, বদলানো মেজাজ, বাতাস-মলিনতা সংক্রান্ত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
13. Kali phosphoricum — মানসিক ক্লান্তি, স্মৃতি-ডিপি, নিউরালজিক দুর্বলতায় ব্যবহৃত টনিক।
14. Bacillinum / Tuberculinum — দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ/পুনরাবৃত্তি প্রবণতায় নির্দিষ্ট কেসে প্রয়োগ (কেবল প্রফেশনাল পর্যবেক্ষণে)।
পরিচিতি: শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষা, রক্ত পরিশোধন, হজমশক্তি, যকৃত, কিডনি, স্নায়ু ও ত্বকের ভারসাম্য রক্ষায় অনেক মাদার টিংচার অত্যন্ত উপকারী। নিচে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কিছু মাদার টিংচার ও তাদের সংক্ষিপ্ত ব্যবহার দেওয়া হলো —
সতর্কতা:
সতর্কতা: উপরে দেওয়া ঔষধের নামগুলো সাধারণ তথ্যবহুল। হোমিওপ্যাথি হল একটি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা — রোগীর সুনির্দিষ্ট লক্ষণ, অজানা পাশ্চাত্য ইতিহাস, ওষুধের পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিবেচনা করে ভর্তি হওয়া উচিত। নিজে থেকেই ডোজ বা মিশ্রণ পরিবর্তন করবেন না। গুরুতর বা ধারাবাহিক লক্ষণের জন্য ঝটপট ও স্থানীয় চিকিৎসা পরামর্শ নিন।নিয়মিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ নির্দেশনা