১. আইডি নং- SM ২৫৭৮, নামঃ , বয়সঃ ৪৫ বছর, গ্রামঃ বাইনাফৈর, থানাঃ কালিহাতি, জেলাঃ টাঙ্গাইল। বিগত ২৩/১০/২০১৮ ইং তারিখে
চিকিৎসার জন্য আমাদের এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার, পটল বাজারে আসেন। নিম্নে তার রোগীলিপি করে অন্যান্য লক্ষ্মণ এর সাথে
নিম্নোক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন যে এলকোহলের নেশা আছে, ত্যাগ করতে চান, তখন তাকে Caladium Seg 1m, ও 10M পর্যায় ক্রমে দিলে সে নেশা কেটে যায়,
আগে মদ কিনে খেত এখন কেউ ফ্রী দিলেও খেতে চায় না।
২. আইডি নং SM-7307: তারিখ : ২৫-৯-২০২৩; বয়স: ২২ বছর। ঠিকানা : চরহামজানী, কালিহাতি, টাংগাইল, সন্ধ্যার পর
ছেলেটির বাবা আমাদের কাছে আসে, কার কাছে যেন শুনেছে, আমাদের এখান থেকে ঔষধ সেবন করে মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ
হয়েছে, তাই তার ছেলের জন্য ঔষধ প্রয়োজন। ছেলের রোগী লিপি করে যে সকল লক্ষ্মণ পেলাম
১. বাজে নেশায় অভ্যস্ত, বিশেষ করে গাঁজা।
২. অধিক রাতে বাড়ি ফেরে, মুখে গাঁজার গন্ধ।
৩. বন্ধুদের সাথে ধুমপান করে, নেশার টাকার জন্য বাড়িতে চিল্লা চিল্লি করে।
৪. বাড়িতে ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না।
৫. দিন দিন স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
উপরোক্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রথমে Nux Vom 6, ও পরে Caladium Seguinum 200সেবন করতে দেয়া হয়। ১ মাস পর ছেলের বাবা
দেখা করে বলেন যে, কিছুটা কাজ হয়েছে, আরও পাওয়ার ওয়ালা ঔষধ দেন। পরবর্তীতে Caladium Seguinum 1M দিয়ে দেই।
আলহামদুলিল্লাহ, গত ২৯-৫-২০২৪ তারখে ছেলের বাবা তার ছোট ভাই এর জন্য একই কেসে ঔষধ নিতে এসে জানালেন যে ছেলে
আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়ে গেছে, কোন টাল্টিফাল্টি করে না, এখন ছোট ভাইয়ের জন্য ঔষধ দেন।
পরবর্তীতে আরও ৩ জন আল্লাহর রহমতে শুধুমাত্র Nux Vom ৩০, প্রয়োগে সুস্থ হয়েছেন।
সুতরাং বলা যায় আল্লাহর রহমতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার দ্বারা মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়। অযথা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বনবাস
দিতে হয় না। আল্লাহ আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।
বি.দ্র: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ অনুচিত।
মাদকাশক্ত একটি সামাজিক ব্যাধি, এটা প্রতিরোধযোগ্য রোগ। জনসচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলেই এ রোগের প্রভাব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সম্মিলিত প্রয়াসই ডেংগু নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
চিকিৎসক ডাঃ ইবনে আসাদ আল মামুন,টাঙ্গাইল
DHMS- (FHMCH),
BHMEC Reg No:- 36663