আসুন আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে নেইঃ-
অগ্ন্যাশয় (pancreas)- ইনসুলিন নামক হরমোন উৎপাদন ও রক্তে নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে। গ্লুকোজ রূপে শর্করা রক্তের প্রবাহের মাধ্যমে প্রতিটি কোষের মধ্যে প্রবেশ করে। “ইন্ট্রাসেলুলার” আন্তঃগ্লুকোজ হচ্ছে কোষের জ্বালানী স্বরূপ যা ছাড়া কোষ কাজ সম্পাদন করতে পারে না। ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র হলে পেনক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের বিটা সেল বা কোষ এ বিপর্যয় ঘটে, ফলে ইনসুলিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। তখন রক্তে চিনি বা শর্করার উপস্থিতি জনিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরী করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয় তা হলে যে রোগ হয় তা হল ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যে কোন একটি বা দুইটিই যদি না হয় তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রন না করা গেলে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস (Diabetes) ইংরেজি শব্দ যার অর্থ বহুমূত্র। ডায়াবেটিস একটি হরমোন সংশ্লিট রোগ। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ন বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারণে বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে বা সংক্রামক কোন রোগ নয়। বর্তমানে পৃথিবীর ২-৫ ভাগ লোক এ-রোগে আক্রান্ত।
👉 যেখানে ডায়াবেটিস নিজেই একটি রোগ হিসেবে দেখা দেয়, কোনো নির্দিষ্ট বাহ্যিক কারণ ছাড়াই।
👉 ডায়াবেটিস যখন অন্য কোনো রোগ, ওষুধ বা শারীরিক অবস্থার কারণে হয়।
ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (DI) হলো একটি বিরল অবস্থা, যেখানে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় ADH (Antidiuretic Hormone) এর অভাব বা কার্যকারিতার ব্যর্থতার কারণে। এটি Diabetes Mellitus থেকে ভিন্ন এবং রক্তের গ্লুকোজের সাথে সম্পর্কিত নয়।
ধরন | কারণ | ADH অবস্থা | প্রতিকারযোগ্যতা |
---|---|---|---|
Central DI | ADH তৈরি হয় না | কম | হ্যাঁ (ADH প্রদান) |
Nephrogenic DI | Kidney ADH-এ সাড়া দেয় না | স্বাভাবিক | আংশিক |
Gestational DI | ADH ভেঙে যায় | কম | হ্যাঁ (ডেলিভারির পর) |
Dipsogenic DI | অতিরিক্ত পানি পান | স্বাভাবিক | আচরণগত চিকিৎসা |
এই শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত:
শ্রেণী | বৈশিষ্ট্য | লক্ষ্যগোষ্ঠী |
---|---|---|
Type 1 | Autoimmune, ইনসুলিন প্রয়োজন | শিশু ও তরুণ |
Type 2 | ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ডায়েট ও ওষুধ | প্রাপ্তবয়স্ক |
GDM | গর্ভাবস্থায় শুরু | গর্ভবতী মহিলা |
Other Specific | জেনেটিক, হরমোন, ওষুধজনিত | বিভিন্ন |
১) প্রধান কারণ -
ঔষধ (Medicine) সাদৃশ্য লক্ষনানুসারে হোমিওপ্যাথি ঔষধ যোগ্যতাসম্পূর্ন হোমিওপ্যাথ এর পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত। যেমন-
Aceticum Acidum, Aconite Nap, Arsenic Album,
Aqua, Alfalfa , Anatherum,
Asclepias, Arsenicum Bromatum ,
Agaricus Muscarius , Ammonium Acet, Apocynum,
Argentum Muriaticum, Aurum Mur, Carlsbad,
Calcarea Cornuti, Coca, Cimicifuga Racemosa,
Codeinum , Crataegus Oxyacantha , Cuprum Arsenicosum ,
Chionanthus Virginica , Capsicum Annuum , Castanea Vesca,
Cahinca, Cannabis Indica, Causticum,
Chininum Sulphuricum, Cina, Convallaria,
Dulcamara, Euonymus Atropurpurea, Ecithinum,
Equisetum, Ferrum Muriaticum, Glycerinum,
Gelsemium, Glonoine, Heloderma Suspectum,
Iris Versicolor, Inula Helenium , Ichthyolum ,
Joanesia Asoca , Menyanthes Trifoliata, Phaseolus Nanus,
Urea Pura , Vanadium, Kali Iodatum,
Kreosotum, Kalium Nitricum , Kousso,
Ledum Pal, Lilium Tigrinum , Lithium Carbonicum,
Lycopodium Clavat, Medorrhinum, Mercurius Corrosiv, Murex,
Petroselinum Sativum , Pulex Irritans , Pulsatilla Pratensis ,
Physalis Peruviana, Picric Acid, Platina-mur-nat,
Pulsatilla, Phosphoricum Acidum,
Sambucus Nig, Sanguinaria Can, Santonium,
Sarsaparilla, Scilla, Veratrum Viride ইত্যাদিসহ যে কোন ঔষধ লক্ষণ সদৃশ ব্যবহার করা যায়।
সূত্র: WHO, DGHS,- এসেন্স ডায়াবেটিস নির্দেশিকা হোমিও রেফারেন্স বইসমূহ থেকে সংগৃহীত; ChatGPT (OpenAI)-এর সহায়তায় প্রস্তুতকৃত।
সংকলনে:ডাঃ ইবনে আসাদ আল মামুন,টাঙ্গাইল
DHMS- (FHMCH),
BHMEC Reg No:- 36663