HOMOEOPATHY DOCTOR

Dengue (ডেংগু)চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি



ডেংগু: একটি সমসাময়িক স্বাস্থ্য সংকট

ভূমিকা

ডেংগু হলো এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করে। বর্ষাকালে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এটি সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা না নিলে প্রাণঘাতীও হতে পারে।

Avatar
মূল কারণ

ডেংগু রোগ ডেংগু ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়, যা মূলত Aedes aegypti নামক মশার কামড়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এই মশা সাধারণত দিনে কামড়ায়, বিশেষ করে সকাল ও বিকেল বেলায়।

আনুষঙ্গিক কারণ লক্ষণসমূহ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচন
  • 1. Eupatorium Perfoliatum উচ্চ জ্বর, হাড় ও পেশীতে তীব্র ব্যথা, শরীরভাঙা অনুভূতি।
  • 2. Bryonia Alba: মাথাব্যথা, তীব্র তৃষ্ণা, সামান্য নড়াচড়া করলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
  • 3. Gelsemium: দুর্বলতা, ঝিমুনি ভাব, ভারী অনুভব, মাথা ঘোরা।
  • 4. Rhus Toxicodendron: জয়েন্টে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ও চুলকানি।
  • 5. Belladonna: হঠাৎ করে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা ভাব।
  • 6. China Officinalis: শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা, মাথা ঘোরা।
  • 7. Phosphorus: রক্তপাত, প্লাটিলেট হ্রাস, রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা।
  • 8. Ipecacuanha: বমি ও বমি বমি ভাবের জন্য উপযোগী।
  • 8. China: প্লাটিলেট হ্রাসজনিত দুর্বলতা
  • 8. Crotalus Horridus: রক্তপাতজনিত ডেংগুর জন্য উপযোগী ।
  • 8. Ipecacuanha: বমি ও বমি বমি ভাবের জন্য উপযোগী।
  • 8. Arnica Montana: অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এর জন্য উপযোগী।
  • 8. Ferrum Phos: লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি রোধ করতে উপযোগী।
  • 9. Carica Papaya (পেঁপে পাতার নির্যাস): প্লাটিলেট সংখ্যা বৃদ্ধিতে কার্যকর। হোমিওপ্যাথিতেও মাদার টিংচার আকারে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ঔষধ: Chininum Sulph, Chininum Ars, Arsenicum Sulph Flavum, Pyrogenium, Psorinum, Antipyrinum, Ledum Palustre ইত্যাদি উপসর্গ অনুযায়ী প্রয়োগযোগ্য।

বি.দ্র: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ অনুচিত।

জটিলতা ও উপসর্গসমূহ
  • ডেংগু হেমোরেজিক ফিভার
  • ডেংগু শক সিনড্রোম
  • রক্তপাত ও প্লাটিলেট ড্রপ
  • লিভার ও কিডনি জটিলতা

ডেঙ্গু শক সিনড্রমে উপসর্গগুলো আরও মারাত্মক রূপ নেয়, যেমন:

  • রক্তচাপ খুব কমে যাওয়া
  • ভেতরের অঙ্গ থেকে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত (Internal bleeding), ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়া
  • তীব্র পেটব্যথা
  • ঘন ঘন বমি ও অচেতন হয়ে যাওয়া
  • শরীর ঠান্ডা ও ঘর্মাক্ত হয়ে পড়া
করণীয়
  • পর্যাপ্ত পানি পান করানো
  • খাবার স্যালাইন খাওয়ানো
  • ঘন ঘন রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ
  • ডিহাইড্রেশন বেশি হলে আইভি স্যালাইন প্রয়োগ
  • রোগীকে অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখা
  • প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করানো
সতর্কতা পথ্য করণীয় বর্জনীয় উপসংহার

ডেংগু একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। জনসচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলেই এ রোগের প্রভাব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সম্মিলিত প্রয়াসই ডেংগু নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সূত্র: WHO, DGHS, হোমিও রেফারেন্স বইসমূহ থেকে সংগৃহীত; ChatGPT (OpenAI)-এর সহায়তায় প্রস্তুতকৃত।

সংকলনে:ডাঃ ইবনে আসাদ আল মামুন,টাঙ্গাইল
DHMS- (FHMCH),
BHMEC Reg No:- 36663

রোগীর চিকিৎসা অগ্রগতি রিপোর্ট- 1-7-2025

রক্তচাপ (B/P):
▪ গতকাল ছিল: ১০০/৭০
▪ বর্তমানে: ১২০/৮০
উপসর্গের উন্নতি:
  • মাথা ব্যথা নেই
  • বমি বমি ভাব নেই
  • অনিদ্রা দূর হয়েছে
  • অস্থিরতা নেই
  • চোখের লালভাব কেটেছে
  • দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক (আগে লাইট হলুদ দেখাতো)
  • দুর্বলতা কেটে গেছে
  • মুখের তিক্ততা কমেছে
  • জ্বর নেই (বর্তমান তাপমাত্রা: ৯৮° ফারেনহাইট)
  • হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া কমেছে
প্রয়োগকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:
  • ২৭/০৬/২৬: China 30 – ২ দিন
  • ২৯/০৬/২৬ থেকে:
    • Eupatorium Perfoliatum 200 – দিনে ৩ বার
    • Carica Papaya Mother Tincture – ২০ ফোটা করে দিনে ৩ বার
    • Ferrum Phos 12x – দিনে ৩ বার
খাদ্যাভ্যাস:
  • ডাবের পানি
  • স্যালাইন
  • লেবুর শরবত
  • আনার ও মাল্টা
  • পাতলা করে রান্না করা ফেনাভাত ও পোলাও চাল

চিকিৎসক: মোঃ তারিক জামিল (টুটুল)
DHMS (FHMCH), BHMEC Reg. No:

হোম

"সর্বস্বত সংরক্ষিত© ২০২৩ এস এম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল সেন্টার; ব্লগঃ ডিজাইনে SIAAM